আমাদের স্বপ্নযাত্রা

আমরা শুধু ফসল ফলাচ্ছি না – বরং আগামী প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলছি এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ

মোঃ তাসদীখ হাবীব

মোঃ তাসদীখ হাবীব

চেয়ারম্যান, সুখের খামার এগ্রো লিমিটেড

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মোঃ তাসদীখ হাবীব ২২ বছর ধরে নেতৃত্ব, সম্প্রদায় গঠন এবং উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। গত সাত বছর ধরে তিনি একজন কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন।

স্মার্ট কৃষিই হবে বাংলাদেশের পরবর্তী বিপ্লব

তাঁর বিশ্বাস, "প্রযুক্তি, মার্কেটিং ও ব্যবস্থাপনার সঠিক সমন্বয়ই কৃষি খাতে টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি।" তাঁর লক্ষ্য হলো কৃষিকে শুধুমাত্র একটি সম্মানজনক পেশা থেকে আধুনিক, লাভজনক এবং যুব-বান্ধব শিল্পে রূপান্তর করা। তাঁর নেতৃত্বে সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ প্রকল্পটি স্মার্ট কৃষি, ব্র্যান্ড বিল্ডিং এবং বাজার সংযোগের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে চলছে, যা প্রযুক্তি এবং মানবতার সমন্বয়ে একটি টেকসই কৃষি বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলছে।

জোবায়ের ইসলাম

জোবায়ের ইসলাম

ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সুখের খামার এগ্রো লিমিটেড

১৯ বছরের শহুরে জীবন এবং ১৩ বছরের কর্পোরেট ক্যারিয়ারের পর জোবায়ের ইসলাম গ্রামে ফিরে এসেছেন একটি টেকসই কৃষি সম্প্রদায় গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে।

আমরা মাটি থেকে শুধু ফসল নয়, ভবিষ্যৎ ফলাতে চাই

তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম কৃষি-ভিত্তিক সম্প্রদায় 'সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ' প্রতিষ্ঠার কাজ করছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি একটি আধুনিক সমন্বিত কৃষি খামার এবং এগ্রো রিসোর্ট গড়ে তুলছেন। একই সাথে সুখের খামার জামে মসজিদ এবং হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসাও নির্মাণ করা হচ্ছে। তাঁর লক্ষ্য হলো এমন একটি গ্রামীণ অর্থনৈতিক মডেল তৈরি করা যেখানে শহুরে বিনিয়োগ এবং গ্রামীণ শ্রম একসাথে নিরাপদ খাদ্য, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক কল্যাণের টেকসই চক্র তৈরি করবে।

প্রজেক্ট ওভারভিউ

সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ কী?

সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ, বগুড়ার কাহালু উপজেলায় ৩০ বিঘার বিশাল জমি জুড়ে বাংলাদেশের প্রথম কমিউনিটি-বেইজড এগ্রো ট্যুরিজম ও সমন্বিত কৃষি খামার প্রকল্প।

এই প্রকল্পে একটি আধুনিক সমন্বিত কৃষি খামার, এগ্রো রিসোর্ট, মসজিদ, হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা ও একটি ফাউন্ডেশন নির্মাণ হচ্ছে।

এই প্রকল্পের একজন অংশীদার হিসেবে আপনি পাবেন – আজীবন নিজস্ব খামারের উৎপাদিত নিরাপদ খাদ্য, এগ্রো রিসোর্টে পরিবার সহ অবকাশ যাপনের সুযোগ, শরীয়াহ সম্মত হালাল আয় এবং টেকসই সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ।

আমাদের ভিশন

একটি অংশীদারিত্বভিত্তিক কৃষি কমিউনিটি গড়ে তোলা হবে, যেখানে কৃষি, এগ্রো ট্যুরিজম ও সমাজকল্যাণ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।

এই কমিউনিটিতে বিনিয়োগকারী, কৃষক ও পর্যটক-সবাই একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থাকবেন।

কৃষির উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন, স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক কল্যাণ-সবকিছু মিলিয়ে এটি হবে এক নতুন ধরণের টেকসই উন্নয়ন মডেল।

আমাদের মিশন

নিরাপদ ও বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন

প্রকৃতিনির্ভর ও টেকসই পদ্ধতিতে এমন খাদ্য উৎপাদন করা, যা মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।

গ্রামীণ পর্যটনের মাধ্যমে শহর-গ্রাম সংযোগ

শহরের মানুষকে গ্রামীণ জীবনের সৌন্দর্য ও কৃষির বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত করে একে অপরের প্রতি বোঝাপড়া ও সহানুভূতি তৈরি করা।

শিক্ষা, ধর্ম ও সমাজকল্যাণে বিনিয়োগ

মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়িত্ববোধকে কেন্দ্র করে এমন একটি কৃষি সমাজ গঠন করা, যেখানে উন্নয়ন ও মানবকল্যাণ পাশাপাশি এগিয়ে যাবে।

Project Overview

সুখের খামার এগ্রো ভিলেজে কি কি থাকছে?

আধুনিক সমন্বিত কৃষি খামার

একটি টেকসই মডেল খামার যেখানে কৃষি, পশুপালন, মৎস্য, উৎপাদন ও পর্যটন একত্রে পরিচালিত হয় এবং উৎপাদন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণের ভারসাম্য রক্ষা করে।

এগ্রো রিসোর্ট

প্রকৃতির মাঝে বিশ্রাম, বিনোদন ও কৃষির অভিজ্ঞতা - যেখানে আধুনিক পর্যটন ও গ্রামীণ জীবন একসাথে উপভোগ করা যায়।

সুখের খামার মসজিদ ও হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা

ধর্ম, শিক্ষা ও মানবকল্যাণের সমন্বয়ে গড়ে তোলা এক মানবিক উদ্যোগ, যেখানে আধ্যাত্মিক চর্চা ও অনাথ শিশুদের শিক্ষার সুযোগ একসাথে নিশ্চিত করা হয়।

সুখের খামার ফাউন্ডেশন

মানবকল্যাণ, শিক্ষা, কৃষি উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি অ-লাভজনক উদ্যোগ, যা টেকসই উন্নয়ন ও নৈতিক সমাজ গঠনে কাজ করে।

সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ

সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ - শরীয়াহভিত্তিক মুশারাকা পদ্ধতিতে পরিচালিত

অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মালিকানা

বিনিয়োগকারী (রাব্বুল মাল) মূলধন প্রদান করেন এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা (মুদারিব) ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনা প্রদান করেন, উভয় পক্ষই প্রকৃত অংশীদার।

বাস্তব সম্পত্তিতে শেয়ার মালিকানা

প্রতিটি বিনিয়োগকারী (রাব্বুল মাল) প্রকল্পের একটি নির্দিষ্ট অংশের আইনগত মালিক হয়ে ওঠেন, কেবল কাগজের শেয়ারের নয়, বাস্তব জমি ও কাঠামোর মালিকানা লাভ করেন।

স্বচ্ছতা ও হিসাবনির্ভর মুনাফা

মুনাফা বার্ষিকভাবে প্রকৃত আয়ের ভিত্তিতে অডিট ও হিসাবের পর বিতরণ করা হয়, অনুমানের নয়, বাস্তব ফলাফলের ভিত্তিতে।

বাস্তব উৎপাদন ও সেবা থেকে আয়

আয় আসে কৃষি, পশুপালন, এগ্রো রিসোর্ট, পর্যটন এবং উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয় থেকে, কোনো কাল্পনিক বা আর্থিক স্কিম থেকে নয়।

লাভ-ক্ষতির ন্যায্য বণ্টন

বার্ষিক প্রকল্প মুনাফা শেয়ার অনুপাতে বিতরণ করা হয়, এবং ক্ষতি হলে সবাই সেই অনুপাতে অংশীদার হন – কোনো নির্দিষ্ট রিটার্ন নেই।

শরীয়াহ বোর্ডের তত্ত্বাবধান

সমস্ত চুক্তি, বিনিয়োগ, লেনদেন এবং মুনাফা বিতরণ শরীয়াহ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় যাতে পুরো সিস্টেম হালাল হয়।

প্রকল্প ব্যবস্থাপকের নিজস্ব ঝুঁকি

সুখের খামার ব্যবস্থাপনাও শেয়ারের ২৫% মালিক, অর্থাৎ তারা বিনিয়োগকারীদের সাথে সমানভাবে ঝুঁকি ও মুনাফা ভাগ করে, যা শরীয়াহ সম্মত।

বিশ্বাস, আমানত ও ন্যায্যতা

সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ শরীয়াহর মূল নীতিগুলি "ঝুঁকি ভাগাভাগি, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা" এর উপর কাজ করে, যা এই প্রকল্পকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।

সুদমুক্ত বিনিয়োগ কাঠামো

কোনো সুদভিত্তিক ঋণ, গ্যারান্টিযুক্ত মুনাফা বা অগ্রিম রিটার্ন নেই – এটি সম্পূর্ণ শরীয়াহ সম্মত অংশীদারিত্বভিত্তিক বিনিয়োগ।

১০

বিনিয়োগকারীর অধিকার ও এক্সিট সুবিধা

বিনিয়োগকারীরা যে কোনো সময় তাদের শেয়ার বিক্রি বা স্থানান্তর করতে পারেন, এবং মালিকানা স্থানান্তর সম্পূর্ণ আইনগত ও স্বচ্ছ।

সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ

সমন্বিত কৃষি খামার

৩০ বিঘা জমিতে গড়ে উঠছে আধুনিক সমন্বিত কৃষি খামার – যেখানে প্রাণিসম্পদ, মৎস্য ও ফসল উৎপাদন হবে এক সমন্বিত ব্যবস্থাপনায়।

এখানে থাকছে –

  • গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, ভেড়া ও দুম্বার খামার।

  • মাছের পুকুর এবং bottom-clean পদ্ধতিতে আধুনিক মাছ চাষ।

  • Polynet house-এ (আধুনিক কীটনাশকমুক্ত গ্রীণহাউজ) বিষমুক্ত সবজি ও ফল উৎপাদন।

অংশীদার সুবিধা:

অংশীদাররা সারা বছর সুখের খামারে উৎপাদিত তাজা ও নিরাপদ পণ্য ঘরে বসেই সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্য রয়েছে।

আয়ের উৎস:

খামারে উৎপাদিত গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, দুম্বা, ভেড়া ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাজারজাতকরণই হবে এ প্রকল্পের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস।

খামারের বিভিন্ন দিক

পশুপালন

হাঁস-মুরগি

মাছ চাষ

দুগ্ধ উৎপাদন

গ্রীণহাউজ

গবাদি পশু

এগ্রো রিসোর্ট

৩০ বিঘার একটি অংশে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মানের এগ্রো রিসোর্ট, যা প্রকৃতি, কৃষি ও বিনোদনের সমন্বয়ে বাংলাদেশের পর্যটনে এক নতুন অধ্যায় যোগ করবে। এখানে আগত দর্শনার্থীরা পাবেন গ্রামীণ জীবন, কৃষি অভিজ্ঞতা ও আধুনিক রিসোর্টের আরাম একসাথে উপভোগের সুযোগ।

নোট: বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটন বাজারের আকার ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি (পর্যটন বোর্ড, ২০২৪)। এগ্রো-ট্যুরিজমে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১৫%, যা এই প্রকল্পকে আরও লাভজনক করে তুলেবে।

প্রধান সুবিধা:

  • প্রাকৃতিক পরিবেশে নির্মিত ইকো কটেজ

  • সুইমিং পুল, গেমিং জোন ও খেলার মাঠ

  • ফার্ম-টু-টেবিল রেস্টুরেন্ট ও কনফারেন্স হল

অংশীদার সুবিধা:

অংশীদারগণ প্রতিবছর বিনামূল্যে পরিবারসহ রিসোর্টে অবকাশ যাপন করতে পারবেন এবং এগ্রো-রিসোর্টের আয়ের লভ্যাংশ শেয়ার অনুপাতে বছর শেষে বুঝে পাবেন।

আয়ের উৎস:

এগ্রো রিসোর্ট হবে প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রধান আয়ের উৎস। কৃষি উৎপাদন থেকে আসা আয়ের পাশাপাশি এটি একটি নিয়মিত ও স্থায়ী আর্থিক প্রবাহ তৈরি করবে। দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমন, রিসোর্ট ভাড়া, রেস্টুরেন্ট, ইভেন্ট ও কনফারেন্স আয়োজন-সবকিছু মিলিয়ে এটি প্রকল্পের আর্থিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই করে তুলবে।

এগ্রো রিসোর্ট

জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম

৩০ বিঘার এক অংশে গড়ে তোলা হচ্ছে জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান, যা সুখের খামারের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতীক।

এই এগ্রো ভিলেজে কি কি আছে?

সুখের খামার জামে মসজিদ

সুখের খামার মসজিদ হবে একটি আধুনিক ও সুন্দর জামে মসজিদ, যা সবার জন্য উন্মুক্ত ও সুশৃঙ্খল। এটি কেবল নামাজের স্থান নয়, বরং সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হবে। এখানে ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধের মাধ্যমে প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করা হবে।

হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা

সুখের খামার হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা হবে অনাথ শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও শিক্ষামূলক আশ্রয়স্থল। এখানে তাদের মানসম্মত ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক আধুনিক শিক্ষার সুযোগ প্রদান করা হবে। এটি কেবল একটি মাদ্রাসা নয়, বরং শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তি।

সুখের খামার ফাউন্ডেশন

সুখের খামার ফাউন্ডেশন হবে সামাজিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতে কার্যক্রম পরিচালিত হবে, যা সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এই ফাউন্ডেশন সমাজে কল্যাণ ও দায়বদ্ধতার একটি বাস্তব উদাহরণ হয়ে উঠবে।

এছাড়া থাকছে টেকসই কৃষির উপাদান

জিরো ওয়েস্ট মডেল

প্রায় ১০ টন দৈনিক বর্জ্য কম্পোস্ট, বায়োগ্যাস ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হবে বর্জ্য না করে।

বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট

দৈনিক খামার বর্জ্য থেকে উৎপাদিত বায়োগ্যাস রান্না ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে, জ্বালানি খরচ কমাবে।

গোবর সার (কম্পোস্ট সার)

গোবর থেকে তৈরি ভার্মিকম্পোস্ট ও ট্রাইকোকম্পোস্ট মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করবে এবং স্থানীয় কৃষকদের জন্য মানসম্মত জৈব সার সরবরাহ করবে।

সোলার এনার্জি

খামারে স্থাপিত সোলার প্যানেল বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে, খরচ কমাবে এবং পরিবেশবান্ধব শক্তি নিশ্চিত করবে।

রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং

বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে খামারের পানি চাহিদা মেটানো হবে, বিশেষ করে খরার সময় বিকল্প উৎস হিসেবে কাজ করবে।

জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম

সুখের বাজার

সুখের বাজার দিচ্ছে নিরাপদ, বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য, সরাসরি মাঠ থেকে আপনার বাড়িতে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা

সারা বছরের নিরাপদ পণ্য

দেশি হাস-মুরগি, গরু-ছাগলের মাংস, মাছ, চাল, ঘি, শাক সবজি, সরিষার তেল ও মসলা সবই ১০০% বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পণ্য পাবেন সাশ্রয়ী মূল্যে।

ডেলিভারি আপনার দোরগোড়ায়

দেশের যেকোনো প্রান্তে দ্রুত ও নিরাপদে পণ্য পৌঁছে যাবে আপনার হাতে।

কোরবানির বিশেষ সুবিধা

সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষিত ও হালাল গরু, ছাগল ও দুম্বা সরাসরি ফার্ম থেকে পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে।

"সুখের বাজার – খামার থেকে আপনার ঘরে বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা।"

সুখের বাজার

প্রজেক্টের ইম্প্যাক্ট

আমরা শুধু কৃষি কাজ করছি না – আমরা গড়ে তুলছি একটি টেকসই ভবিষ্যৎ। আপনার বিনিয়োগের প্রতিটি টাকা কাজ করবে মানুষ, প্রকৃতি ও দেশের অর্থনীতিকে একসাথে সমৃদ্ধ করতে।

টেকসই উন্নয়নের সহযাত্রী

  • জাতিসংঘের SDG লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • পরিবেশ, অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে নানান কার্যক্রম।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি

  • ১,০০০+ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন।
  • স্বনির্ভর কমিউনিটি তৈরি।

মাটি পুনরুজ্জীবন

  • জৈবসার ব্যবহারে উর্বরতা বৃদ্ধি।
  • রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত কৃষি ব্যবস্থা।

গ্রিন এনার্জি উৎপাদন

  • সোলার/বায়োগ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
  • খামারের এনার্জি খরচে স্বনির্ভরতা।

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন

  • আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ + ধর্মীয় শিক্ষা।
  • শিশু, যুবক ও কৃষকদের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি।

গ্রামীণ অর্থনীতির সমৃদ্ধি

  • কৃষি, পর্যটন ও উৎপাদনের মাধ্যমে সমৃদ্ধি।
  • স্বনির্ভর ও টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য আন্দোলন

  • বিষমুক্ত, স্বাস্থ্যকর খাবার উৎপাদন।
  • নিজস্ব কমিউনিটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা।

পানি সংরক্ষণ

  • বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও পুনঃব্যবহার।
  • ভূগর্ভস্থ পানির স্তর পুনরুজ্জীবিত করা।

কৃষকের ন্যায্য মূল্য

  • সরাসরি বাজার সংযোগ।
  • কৃষকের আয় বৃদ্ধি।

সুখের বাজার (Farm to Dining)

  • খামার থেকে সরাসরি ভোক্তার হাতে পণ্য পৌঁছানো।
  • ১০০% খাঁটি, ভেজালমুক্ত ও মানসম্মত পণ্য।
প্রজেক্টের ইম্প্যাক্ট

"এটি এমন এক প্রকল্প যেখানে লাভের পাশাপাশি আছে সৃষ্টি, অংশগ্রহণ ও প্রশান্তির আনন্দ।"

কেন সুখের খামার এগ্রো ভিলেজের মালিক হবেন?

আজীবন মালিকানা

মাত্র ২,৯৫,০০০ টাকায় সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ প্রকল্পের একটি শেয়ারের আজীবন মালিকানা।

জমির মালিকানা

সাফ কবলা দলিলসহ এগ্রো ভিলেজের ৩০ বিঘা জমির একাংশের রেজিস্ট্রেশন।

ফ্রি অবকাশ

প্রতি বছর এগ্রো রিসোর্টে পরিবারসহ ফ্রি অবকাশ যাপন।

প্রতি বছর হালাল মুনাফা

বছর শেষে সমন্বিত কৃষি খামার ও এগ্রো রিসোর্টের আয় হতে আজীবন হালাল মুনাফা অর্জনের সুযোগ।

পরিবারের জন্য নিরাপদ খাদ্য

পরিবারের জন্য আজীবন ভেজাল মুক্ত নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা।

সাশ্রয়

কোরবানির জন্য গরু, ছাগল, দুম্বা এবং সারাবছর দেশী হাস-মুরগী, ডিম-দুধ সহ খামারের অন্যান্য উৎপাদিত পন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয়ের সুযোগ।

প্রতিষ্ঠাতা সদস্যপদ

প্রকল্পের মসজিদ ও হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যপদ।

দাতা সদস্যপদ

সুখের খামার ফাউন্ডেশনের আজীবন দাতা সদস্যপদ।

শেয়ার পুনঃ বিক্রয়

শেয়ার মূল্য বৃদ্ধির নিশ্চয়তা এবং যেকোন সময় শেয়ার পুনঃ বিক্রয়ের সুবিধা।

সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ কেন বগুড়ায়?

সোনার মত মাটি

বগুড়ার মাটি বাংলাদেশের সবচেয়ে উর্বর মাটিগুলোর মধ্যে একটি। বছরে ৩-৪টি ফসলের মৌসুম সম্ভব এবং ২০-২৫% বেশি ফলন পাওয়া যায়।

কৃষি ও দুগ্ধের রাজধানী

বগুড়া দেশের শীর্ষ দুগ্ধ উৎপাদনকারী জেলা। প্রতিদিন গড়ে ১৫ লক্ষ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। ফসল ও প্রক্রিয়াজাত দুগ্ধ শিল্পে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ঢাকা থেকে মাত্র ৪ ঘন্টার দূরত্ব। উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক, রেলপথ ও বিমানবন্দর দ্বারা সংযুক্ত, যা দ্রুত, কম খরচে ও উচ্চ মুনাফায় পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করে।

আধুনিক অবকাঠামো ও জনবল

বগুড়ায় ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০+ কারিগরি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা দক্ষ কৃষি জনবল ও গবেষণা সহায়তা নিশ্চিত করে। স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধা ইতিমধ্যে উন্নত।

বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ

বগুড়া এখন সরকারি অগ্রাধিকার উন্নয়ন এলাকা, যা এগ্রো-প্রক্রিয়াকরণ ও এগ্রো-শিল্পের জন্য কর ছাড় ও প্রণোদনা প্রদান করে।

ঐতিহাসিক নিদর্শন

মহাস্থানগড়, বেহুলার বাসর ঘর, শাহ সুলতান (র.) এর মাজার, বসু বিহার, শিলাদেবী ঘাট, যোগীর ভবন মন্দির ইত্যাদি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান বগুড়াকে এগ্রো-পর্যটনের জন্য আদর্শ গন্তব্য করে তুলেছে।

এই অঞ্চলটি পশুপালন ও কৃষির জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। উন্নত জাতের প্রাণী সহজলভ্য এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা (বিমানবন্দর, রেলপথ, মহাসড়ক) পণ্য পরিবহনকে সহজ করে। উর্বর মাটি বছরে তিনটি ফসল সম্ভব করে তোলে, যেকোনো ফসল চাষযোগ্য। বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও সিটি কর্পোরেশন অঞ্চলের উন্নয়নকে সমর্থন করে, এবং মহাস্থানগড় ও বসু বিহারের মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলো পর্যটন ও শিক্ষার জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে।

কেন বগুড়ায়?

অংশীদারদের মন্তব্য

যারা আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছেন, তাদের মন্তব্য

সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (FAQ)

আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলী

Dr. Md. Ali Asgar Khan

ড. মো. আলী আসগর খান

উপদেষ্টা, সুখের খামার। সাবেক অতিরিক্ত রেজিস্টার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BAU)

  • ৩৪+ বছর কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে অভিজ্ঞ
  • পিএইচডি (ডেইরি সায়েন্স), পোস্টডক্টরাল গবেষণা (বীজ ষাঁড় উৎপাদন)
  • গবাদিপশু উন্নয়ন, AI, লাইভস্টক ভ্যালু চেইন বিশেষজ্ঞ
  • আন্তর্জাতিক ও এনজিও পরামর্শক
  • ডেইরি ফার্ম ব্যবস্থাপক, কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ কর্মকর্তা
  • সামাজিক কর্মকাণ্ড ও প্রশিক্ষণেও সক্রিয়
Dr. A.H.M. Kohinoor

ড. এ.এইচ.এম. কোহিনুর

উপদেষ্টা, সুখের খামার। সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে (BFRI)

  • জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মৎস্য গবেষক
  • ৩৩+ বছর BFRI-তে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক
  • মৎস্য প্রজনন, টেলাপিয়া উন্নয়ন, বায়োফ্লক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ
  • ৬০+ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রবন্ধ
  • ২০০২ সালে জাতীয় মৎস্য পুরস্কার (স্বর্ণপদক) প্রাপ্ত
  • প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় নিবেদিত
Dr. Md. Jahangir Alam

ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম

উপদেষ্টা, সুখের খামার। সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার অ্যাগ্রিকালচার (BINA)

  • বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার সুপরিচিত নাম
  • BINA-এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা থেকে পরিচালক পর্যন্ত দায়িত্ব পালন
  • ধান, ছোলা, টমেটো জাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান
  • ৩৪+ বছর গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনে অভিজ্ঞ
  • ৫২ জন মাস্টার্স ও ৪ জন পিএইচডি শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার
  • আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ: চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড
Dr. Sharif Uddin Pramanik

ড. শরীফ উদ্দিন প্রামাণিক

উপদেষ্টা, সুখের খামার, ইসলামিক ফাইন্যান্স এক্সপার্ট

  • ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সে ৩০+ বছরের অভিজ্ঞতা
  • ঢা. বি. এমফিল ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী গবেষক
  • "Financial Crisis Management of Islamic Economic System" বিষয়ে পিএইচডি ও বিশেষজ্ঞ
  • রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, শারিয়াহভিত্তিক অর্থনীতি ও আর্থিক নীতি উন্নয়নে নেতৃত্বদায়ী
  • ইসলামিক ইকোনমি, এগ্রো-ইকোনমিকস, ইনভেস্টমেন্ট সেফটি ও সাসটেইনেবল গ্রোথ মডেলে তাঁর পরামর্শে সুখের খামার আরও শক্তিশালী হচ্ছে
Dr. Dineke Kwart

ড. ডিনেকে কোয়ার্টস

উপদেষ্টা, সুখের খামার, এগ্রো ট্যুরিজম এক্সপার্ট

  • সিনিয়র বিশেষজ্ঞ (এগ্রো ট্যুরিজম), PUM নেদারল্যান্ডস
  • প্রভাষক ও রিসার্চ পলিসি এডভাইজার, ব্রেডা বিশ্ববিদ্যালয়
  • পর্যটন ও সাংস্কৃতিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ৩০+ বছরের অভিজ্ঞতা
  • আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক প্রকল্প কিউরেটর
  • কমিউনিটি-বেইজড এবং টেকসই পর্যটন উন্নয়ন

আমাদের ব্লগ থেকে সর্বশেষ

কৃষি এবং আতিথেয়তার জগত থেকে সর্বশেষ খবর, টিপস এবং অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে আপডেট থাকুন

কৃষি Dec 10, 2024

ভাল ফলনের জন্য টেকসই চাষ অনুশীলন

আধুনিক টেকসই চাষ কৌশল কীভাবে পরিবেশ রক্ষা করার সময় ফসলের ফলন বাড়াতে পারে তা আবিষ্কার করুন...

আরও পড়ুন
আতিথেয়তা Dec 8, 2024

স্মরণীয় রিসোর্ট অভিজ্ঞতা তৈরি করা

আমরা কীভাবে অনন্য অভিজ্ঞতা ডিজাইন করি যা আমাদের অতিথিদের প্রকৃতি এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে সংযুক্ত করে তা শিখুন...

আরও পড়ুন
সম্প্রদায় Dec 5, 2024

সহযোগিতার মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের ক্ষমতায়ন

আমাদের সমবায় মডেল কীভাবে গ্রামীণ সম্প্রদায়কে রূপান্তর করছে এবং টেকসই জীবিকা তৈরি করছে...

আরও পড়ুন

সুখের খামার অনুভব করতে প্রস্তুত?

টেকসই কৃষি, প্রিমিয়াম রিসোর্ট অভিজ্ঞতা এবং সমাজকল্যাণের নিখুঁত সমন্বয় আবিষ্কার করুন। বাংলাদেশে কৃষি ও পর্যটনের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগ দিন।

সুখের খামার